মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ৬৬৫টি মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৭১৬টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর আবেদন করেও এমপিও অযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়েছে ৮ হাজার ১৭৫টি। তবে যেসব উপজেলার কোনও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারেনি সেসব উপজেলায় শর্ত পূরণ করতে না পারা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানের একটি করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলো আপিল করতে পারবে।
বুধবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পাশের হার ইত্যাদি বিবেচনা করে সরকার সময়ে সময়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি সরকারিভাবে দিয়ে থাকে।
আজকের আদেশের আগ পর্যন্ত সারাদেশে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৮টি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত এক হাজার ৬৫১টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৯৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।
এবছর নতুন বেসরকারি (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ২০২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, যোগ্যতা থাকার পরও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও’র প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে সচিব বরাবর আপিল আবেদন করতে পারবেন। কোনও মিথ্যা তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করে এমপিওভুক্ত হলে পরবর্তীতে তা প্রমাণ হলে দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এমপিও’র অযোগ্য ৮ হাজার ১৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান বাদ পড়েছে তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন। এমপিও্ভুক্তির আপিল আবেদন করার পরে পুণরায় যাচাই করে যোগ্য প্রমানণিত হলে তাদের এমপিও প্রদান করা হবে।
আপিল আবেদন পদ্ধতি-
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগ্যতা সাপেক্ষেও কোনা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গেছে মনে করলে
- প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে।
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে।
- ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয় আপিল নিষ্পত্তি করবে।
এমপিও আপিল আবেদন ফরম ডাউনলোড / MPO Appeal Application Form Download
আবেদন পাঠানোর ঠিকানা
ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদনের স্ক্যান কপি mpo.appeal@moedu.gov.bd এবং মূল কপি, ডাক বিভাগের মাধ্যমে উপসচিব, বেসরকারি মাধ্যমিক-3, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, রুম নং-1610, ভবন নং-08 বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
অন্যদিকে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিও নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান একটি ই-মেইল পাঠাবেন। 21 জুলাইয়ের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে। tmedmpo2020@gmail.com) এবং ডাক বিভাগের মাধ্যমে, উপসচিব, এমপিও, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, কক্ষ নং-1819, ভবন নং-6, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-1000।
সুতরাং দেরি না করে যারা যোগ্য হয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি, তারা দ্রুত আবেদন করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
আরো দেখুন-
এমপিওভুক্ত দাখিল মাদরাসার তালিকা 2022 | MPO Dakhil Madrasha List PDF