বুধবার থেকে সপ্তাহে দুই দিন দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও উপ-সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাপ্তাহিক বন্ধের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
গত মাসের ৭ তারিখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সারা দেশে আলো না জ্বালানোর নির্দেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকান, অফিস ও বাসাবাড়িতে বাতি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে এক ঘণ্টা লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অধিকাংশ এলাকায় লোডশেডিং এর চেয়ে বেশি।
জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি অফিসের সময় কমানোর কথা বলা হচ্ছে। ২১ জুলাই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি যদি দেখি বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করতে পারি, তাহলে অফিস সময় কমানোর দরকার নেই। কোনটি করা ভাল তা আমরা পর্যালোচনা করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। পরিস্থিতি পরিচালনা করুন। প্রয়োজনে তা করা হবে। কিন্তু এখন আমাদের 25 শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় চলছে।
সরকার সব কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে রাখতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই প্রয়োজন না হলে স্বাভাবিক গতিতে সব কাজ চলবে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস
আগামী বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সকল সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অধীনস্থ সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমনের সেচ সুবিধার জন্য আগামী ১২-১৫ দিন গ্রামটিতে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আগামী ৭ জুলাই সারাদেশে আলো না জ্বালানোর নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকান, অফিস ও বাসাবাড়িতে বাতি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর ওই মাসের ১৯ তারিখ থেকে সারা দেশে এক ঘণ্টা লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বেশির ভাগ এলাকায় এর চেয়ে বেশি সময় ধরে লোডশেডিং চলছে।